• ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১
logo
পাচারের অর্থ ফেরাতে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস ও প্রেসিডেন্ট বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে এই সহায়তা চান তিনি। বৈঠককালে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন যাত্রাপথ নির্ধারণের ‘বিরাট সুযোগ’ তৈরি করেছে। সাক্ষাতে তারা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলনে হতাহতদের জন্য ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন ও এটিকে উন্নত করার উপায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় অ্যালেক্স সোরোস বলেন, ‘আমরা এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উপায় অনুসন্ধান করব।’ প্রধান উপদেষ্টা ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আরও বেশি কিছু করার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন একটি নৃশংস স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘দাভোসে আমার সফরের সময় আমি যা দেখেছি তা হলো জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে খুব বেশি লোক জানে না। অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে।’ প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দীর্ঘ শাসনামলে পাচার করা প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনার জন্য ‘সম্পদ সনাক্তকরণ’ কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি ‘বিপর্যস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে। ড. ইউনূস পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সহায়তা কামনা করে বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে। কিন্তু ভুল তথ্য ও অপতথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি উত্তরণে সহায়তা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করে। এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো সমস্যা ছাড়াই কীভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’ আরটিভি/এফএ-টি
১৮ ঘণ্টা আগে

ভারতকে কোনো ছাড় নয়: বিজিবি মহাপরিচালক
সীমান্তসহ ভারতকে কোনো বিষয়েই ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিজিবি প্রধান বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তিগুলো নিয়ে কাজ করতে। ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলে এটা সমাধান করা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যেগুলোতে আমরা মনে করছি যে, আমরা বঞ্চিত হয়েছি, সে বিষয়গুলোতে কোনো ছাড় দেব না। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা বসব। সেখানে আপনারা সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবেন। বর্ডার কিলিংয়ে সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। মোট কথা কোনো বিষয়ে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) খোদা বখস চৌধুরীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন আগামী মাসে হবে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৬

প্রধান উপদেষ্টার দাভোস সফর ছিল ঐতিহাসিক: প্রেস সচিব
দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা ঐতিহাসিক সফর ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা ঐতিহাসিক সফর ছিল। সভায় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ড সফর বড় একটি অর্জন। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে প্রথমেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য সবকিছু করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি  আরও বলেন, জার্মানি ইউরোপের ক্ষমতাধর দেশগুলোর একটি। বৈঠকে ওলাফ শলৎস স্ব-উদ্যোগে বাংলাদেশে বিজনেস ডেলিগেশন, স্পেশাল ডেলিগেশন পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। তারা এসে নীতি-নির্ধারক ও দেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে জার্মানির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। প্রেস সচিব বলেন, সফরে পতিত সরকারের বিদেশে পাচার করা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ফিনল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর। তিনি বলেন, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা খুবই স্লো প্রসেস। এটার জন্য যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সরকার সেই পদক্ষেপই নিয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে টাস্কফোর্স, অ্যাসেট রিকভারি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ১১টা টিম কাজ করছি। সারা বিশ্বের টপ টপ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলছি। পাচার করা টাকা ফেরত আনা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, যে টাকা পাচার হয়েছে সেটা বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের টাকা। তাদের টাকা চুরি করে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনার চোরত্রন্ত্রের লোকজন। সেই টাকা আমরা যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনব। সেটার জন্য আমরা গ্লোবালি একটা সমর্থক চাচ্ছিলাম। সেটাতে সবাই অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি। প্রফেসর ইউনুস যখনই বিশ্বের টপ লিডারদের সঙ্গে কথা বলছেন তখন তিনি এ বিষয়টা তুলছেন। প্রেস সচিব বলেন, জুলাই-অগাস্টের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘ শিগগিরই তার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করবে।  এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন- পালাবেন না, কিন্তু পালিয়েছেন। তার চেলা-চামুন্ডারাই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশের কসাই। যারা গুজব ছড়াচ্ছেন এটা যদি আইনের ভঙ্গ হয়, তবে আইনগতভাবে তা দেখা হবে। প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করছে না। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার এ বছরই বড় আকারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। এতে ১৭০টি দেশ অংশ নেবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত সম্মেলনের সহ-আয়োজক জাতিসংঘ। আরটিভি/এফএ-টি
২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩২

বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: প্রধান বিচারপতি
বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আদালতগুলো বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে। ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভে সক্ষম হবেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে ও অধিক পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। এ উদ্যোগ বিচারব্যবস্থাকে পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং দেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে উপযোগী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  তিনি তার বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সাংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এ দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে নতুন একটি প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা বর্তমানে চলমান রয়েছে, এর অংশ হিসেবে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়েই তরুণদের কীভাবে সাংবিধানিকতার মৌলিক দিকগুলোর সঙ্গে পরিচিত করানো যায়, তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকৃত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে তরুণদের জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হলে সেই অর্জিত শিক্ষা একটি ন্যায়সংগত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে এ দেশের তরুণদের অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি সেমিনারে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি সংবিধানের বিদ্যমান বিধানের কার্যকর প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ষষ্ঠ অংশের প্রথম অধ্যায়ের বেশ কিছু বিধান, যা কখনো সেভাবে প্রয়োগ করা হয়নি, তা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মের সভাপতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের আওতায় অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ এবং ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি। সংবিধানের ১০৭ অনুচ্ছেদের ৩ ও ৪ দফার সম্মিলিত পাঠের আওতায় প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দেশের জেলা আদালতগুলোয় এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে। বিচারসেবা সহজীকরণ সুপ্রিম কোর্টে যে হেল্পলাইন সেবা চালু করা হয়েছে, তার মাধ্যমে বিচারসেবা প্রার্থীরা উপকৃত হচ্ছেন এবং বিচারসেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজারের দুসাই রিসোর্টে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্টস অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রিজিওনাল সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সেমিনারে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। আরটিভি/এফএ-টি
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২০

আজ দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের সরকারি সফর শেষে সুইজারল্যান্ড থেকে আজ দেশে ফিরছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৫টায় বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।  জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভা এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টের সময় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।‌ এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। পরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান। এ সময় সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। এরপর থেকেই ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করেন প্রধান উপদেষ্টা। অংশ নেন প্রায় অর্ধশত অনুষ্ঠানে। এর মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ৪টি, মন্ত্রী পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ৪টি, জাতিসংঘ বা এ জাতীয় সংস্থার প্রধান বা শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে ১০টি, সিইও বা উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের সঙ্গে ১০টি, ডব্লিউইএফ আয়োজিত অনুষ্ঠান ৯টি (যার মধ্যে আনুষ্ঠানিক রাতের খাবার ও মধ্যাহ্নভোজ ৪টি), গণমাধ্যমে অংশগ্রহণ ৮টি ও অন্যান্য ২টি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। আরটিভি/আইএম/এস
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জেনেল গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জেনেল গ্রুপের (রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল কোম্পানি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আমের আলি রেজা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাইডলাইনে এ সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মারিনো ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডালিও ফ্যামিলি অফিস-এর প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী রে ডালিও। আরটিভি/এমএ
২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১০

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মহাসচিবের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (এআই) মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহৎ শিপিং কোম্পানি এপি মুলার মার্কসের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়ারস্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উল্লেখ্য. ড. ইউনূস বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি গত ২১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে পৌঁছান। সূত্র: বাসস আরটিভি/আরএ-টি
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১৯

উদ্যোক্তামুখী সমাজ নির্মাণে তরুণদের বিকল্প নেই: প্রধান উপদেষ্টা
কর্মমুখী সমাজ থেকে উদ্যোক্তামুখী সমাজের দিকে এগিয়ে যেতে তরুণদের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২২ জানুয়ারি) আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তরুণরাই নিত্যনতুন আইডিয়া ও প্রযুক্তি সমাজের সামনে উপস্থাপন করবে। যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। তাই তরুণদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। আসিয়ানভুক্ত অঞ্চলের ভবিষ্যত গড়তে অনুসরণ থামিয়ে নতুন কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সামাজিক উদ্যোক্তা কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতিকে নির্মাণ করতে হবে। আসিয়ান ফ্রেমওয়ার্কেও তার উল্লেখ থাকতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। ভিন্ন একটি সমাজ গড়তে সামাজিক ব্যবসা তহবিল ব্যবহার করতে হবে।  আরটিভি/আইএম
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯

চুরির অর্থ ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশ থেকে চুরি হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ফাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার সময় তিনি এ‌ সহায়তা চান। জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস ওল্ফগ্যাং স্মিড, বেলজিয়ামের রাজা কিং ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া ফোরামে দ্বিতীয় দিনে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে কীভাবে দিবালোকে ডাকাতি হয়েছে- তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জার্মান মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের কথাও বলি।’ এ বিষয়ে জার্মানির সরকারের সমর্থন কামনা করেন এবং জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। জার্মান মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এপ্রিলে জার্মানির একটি নতুন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। নেপাল বিদ্যুৎ বিক্রি করতে সত্যিই প্রস্তুত ও বাংলাদেশ একটি ভালো বাজার। এটি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে।’ ড. ইউনূস সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ রাখার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি জানান, ২৭ বছরের কম বয়সী তরুণরা দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। এ সময় ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা ও আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। এ ছাড়া জার্মান মন্ত্রী ও সুইস কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয় যে কীভাবে বেলজিয়ামের একজন যুবরাজের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দ্বারা চালু করা একটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি আফ্রিকার দেশটিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের আকার প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে। কঙ্গোর সংঘাতপ্রবণ এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনকারী প্রিন্স ইমানুয়েল ডি মেরোড বলেন, ‘সংঘাতের পর ক্ষুদ্রঋণ সেখানে ২১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পর কঙ্গোর বনাঞ্চলের আয়তন এখন ব্রিটেনের দ্বিগুণ। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।’ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট এবং জাহাজ চলাচলসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে চাই। কারণ আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।’ বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর দুদেশের মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছিলেন ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার বড় ভক্ত। দারিদ্র্য, সম্পদের কেন্দ্রীভবন, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি আত্মধ্বংসী সভ্যতা উদ্ধারের লক্ষ্যে থাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা সম্পর্কে অবহিত করেন  তিনি। প্রধান উপদেষ্টা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৫৮টি দেশে প্রায় ৫ হাজার ‘থ্রি জিরো’ ক্লাব রয়েছে।’ থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।’ সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। লুৎফে সিদ্দিকী চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জার্মান মন্ত্রী ভোল্ফগ্যাং স্মিডকে অবহিত করেন এবং বলেন, ‘সরকার এ বিষয়ে একটি সম্পদ পুনরুদ্ধার কমিটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার প্রাথমিকভাবে শীর্ষ ২০ অর্থপাচারকারীকে টার্গেট করেছিল।’ আরটিভি/এফএ-টি
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।  মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজার‌ল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে তারা এ সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। পরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান। এ সময় সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। চার দিনের সরকারি সফর শেষে আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আরটিভি/আইএম/এস
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়